‘একুশ শতকের যোগ্য নাগরিক গড়তে হবে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। শিশু-কিশোরদের মন ও মেধা খুব প্রখর। তাই তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গড়া সম্ভব। মানুষের মেধা বিকাশে দুটি গুণ জরুরি। একটা সৃজনশীলতা, অন্যটি চিন্তন দক্ষতা। যার যত বেশি চিন্তন দক্ষতা থাকবে তত বেশি প্রখর হবে তার সৃজনশীলতা।’
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সিটিজিআইটি লিমিটেডের কর্মশালার সমাপনী দিনের পুরস্কার বিতরণী সভায় কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন এসব কথা বলেন।
নগরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কে ফুলকী’র একে খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় ভারতের আইটি প্রশিক্ষক সংকল্প সাইলং বলেন, অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বা শিশু-কিশোরদের বাসায় কোনো খেলনা ভাঙলে বা মোবাইল ভাঙলে তাকে বকাঝকা করি। কিন্তু না ভাঙলে কীভাবে জানবে তার ভিতর কী কী আছে। জানতে পারবে না রোবট কীভাবে কাজ করে। আলোচনা পর্বের মাঝে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন রোবট প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী দিনে সনদপত্র বিতরণ, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলোচনা সভা সিটিজিআইটি সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ তাদের কর্মশালার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সংগঠক শিমুল গুপ্তের সঞ্চালনায় সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, ফুলকী’র অধ্যক্ষ শীলা মোমেন। পরে অংশগ্রহণকারী ফুলকীর শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবটিক শিক্ষা প্রসার ও বিকাশের জন্য সিটিজিআইটি সার্ভিস রোবটিক এডুকেশন কোর্স চালু করে। ফুলকী ছাড়া সাউথপয়েন্ট স্কুল ও চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।