দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর সুদীর্ঘ ৫৫ বছর পূর্ণ করে ৫৬ তে পা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদশর অন্যতম শ্রষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠার দিন থেকে শুধু জ্ঞান বিজ্ঞান প্রসার নয়, ৬৯’র গণঅভুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বরাচার বিরাধী আদালনসহ দশর প্রতিটি ক্রালিগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালন করেছে গুরত্বপূর্ণ ভমিকা। বাংলাদশর মহান মুক্তিযুদ্ধ চবির ১৫ জন মহানায়ক তাদর নিজের জীবন বিলিয় দন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী শহীদ মোহাম্মদ হোসেন দেওয়া হয় বীর প্রতীক খেতাব।
দেশের অন্যতম এই সরা এই বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হয়েছে উপমহাদশের খ্যাতিমান ভৌত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরল ইসলাম, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ড. অনুপম সেন, ড. আনিসুজ্জামান, আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুনসহ দেশ বরণ্য বহু কীর্তিমান মনীষীর জ্ঞানর আলায়। শিক্ষা ও গবষণার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির যথেষ্ট সুনাম।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। পুরো ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় চবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রার। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর বেলা ১১টায় কেক কাটা হবে। পরে সাড়ে ১১টায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। দুপুর ১২টায় আলোচনাসভা ও স্মৃতিচারণ এবং বিকেল ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, অর্থনীতি— এই চারটি বিভাগ এবং সাতজন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে নয়টি অনুষদে রয়েছে ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৫৫০ জন এবং বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করছেন ৯০৬ জন শিক্ষক।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নয়টি ছাত্র ও পাঁচটি ছাত্রী আবাসিক হল এবং একটি হোস্টেল রয়েছে।
নতুন বছরর পর্দাপণের যাত্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকল বাঁধা পেরিয়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বে নিজের ভার্বমূতি আরা উজ্জ্বল করবে বলে বিশ্বাস সকলের।
জয়নিউজ/পিডি