প্রতিকূল আবহাওয়ায় ধানের ফলন কম হলেও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) পাবনার ঈশ্বরদী সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রে লিচু মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিককালে, বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ার জন্য করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সার-কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এছাড়া ইউক্রেন বিশ্বে শতকরা ৪০ ভাগ খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। যুদ্ধের প্রভাবে তা বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যে প্রভাব পড়েছে। তবে দাম কিছুটা বাড়লেও দেশে খাদ্যের কোনও ঘাটতি হবে না।
কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিকীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যকে অর্থকরী ফসলে পরিণত করতে হবে। স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি বিদেশে রফতানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। লিচু, আমসহ দেশীয় ফলমূল সংরক্ষণ প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কারখানা গড়ে তোলা হবে। এতে রফতানি বাড়বে, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের কৃষিঋণের সুদ কমিয়ে এনেছে। লিচুসহ সব ফসলের জন্য কৃষকদের ২ থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হবে। আগামী দিনে ঈশ্বরদীর উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও যাতে রফতানি করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী করপোরেট কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈশ্বরদী অঞ্চলে দেশীয় ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রফতানিতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি আয়োজিত লিচু মেলায় সভাপতিত্ব করেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ।
জয়নিউজ/পিডি