চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস চট্টগ্রাম নগরীতে আত্মগোপন করে ছিলেন অভিযুক্ত ধর্ষণকারী। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে র্যাবের জালে।
সোমবার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নগরের খুলশী এলাকার পূর্ব নাসিরাবাদ থানার তুলাতুলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. রশিদ আহাম্মদ। তিনি বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া এলাকার মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে। র্যাব জানায়, গ্রেফতার রশিদ শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট ও ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামী।
এর আগে গত বছরের ১৯ জুলাই ধর্ষিতা শিশু তার মায়ের সাথে নানার বাড়ী বাহারছড়া এলাকায় বেড়াতে যায়। একই দিন দুপুরে শিশুটি খেলার জন্য ঘর থেকে বের হলে রশিদ আহাম্মদ শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের মা তার মেয়েকে বেশ কিছুক্ষন আশে পাশে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে মায়ের ডাক শুনে রশিদ আহাম্মদের ঘর থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে।
ভিকটিম ঘটনাটি মাকে খুলে বলতেই ধর্ষণকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনদের সহায়তায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/৩), এর ৯(১), ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য পলাতক থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন রশিদ।
ধর্ষণ মামলার মেডিক্যাল প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত রশিদ আহাম্মদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
পরে ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭ এর টিম গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। সোমবার ধর্ষণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে খুলশী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রশিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বুধবার (৮ জুন) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার। তিনি জানান, মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের যথেষ্ট আলামত পাওয়া যায়। ধর্ষণকারী রশিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তাকে বাঁশখালী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে জানালেন র্যাবের এ সিনিয়র সহকারী পরিচালক।
জেএন/টিটি