তাইওয়ান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের হঠাৎ উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে আজ শনিবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন দেশ দুটির গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তি। তাঁরা হলেন- চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিশেল জে. সিসন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের সফরে আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সফরসূচি একাধিকবার পরিবর্তন হওয়ায় তাঁর ঢাকায় অবতরণের সময় এখনও জানা যায়নি। তবে কম্বোডিয়ায় আশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকা আসবেন। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ওয়াং ই ঢাকা পৌঁছবেন। তাঁর এই সফরে দু’দেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সহযোগিতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা, পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর চীনের অর্থায়নে নির্মিত সেতু হস্তান্তর, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও দু’দেশের টেলিভিশনে পরস্পরের অনুষ্ঠান প্রচার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি রেখেছে ঢাকা।
সফরে রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এরপর ওয়াং ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। রোববার দুপুরের মধ্যেই তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা সফরে এসে চীনের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বমূলক পর্যায়ে নিয়েছিলেন। এটি কীভাবে আরও বেগবান করা যায়, মূলত সে বার্তা নিয়েই ওয়াং ই ঢাকা আসছেন। এ ছাড়া দু’দেশের মধ্যকার আগের সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
এদিকে, শনিবার আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিশেল জে. সিসন।
২ আগস্ট থেকে তিনি ভারত, বাংলাদেশ ও কুয়েত সফর করছেন। ১০ আগস্ট পর্যন্ত তাঁর এসব দেশ সফরে বহুপক্ষীয় অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা, মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা, শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার বিষয় উঠে আসছে। মিশেল জে. সিসনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। মঙ্গলবার তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
জেএন/কেকে