রাতে নেশা করে এসে নিয়মিতই স্ত্রী পারভিনকে মারধর করতেন মতিন। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাতে পারভিনকে হত্যা করতে যখন সে গলাটিপে ধরে তখন তা দেখে ফেলে শাশুড়ি হোসনে আরা। তাই তাকেও গলাটিপে হত্যা করে মতিন।
মাদকাসক্ত মতিন পারিবারিক কলহের কারণেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। মঙ্গলবার সকালে নগরের পাঠানটুলী গায়েবী মসজিদ এলাকায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মতিন দেড় বছর আগে পারভিনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর মতিন সিলেটে চলে যায়। কয়েক মাস আগে সে আবার স্ত্রী পারভিনের কাছে ফিরে আসে। পাঠানটুলি গায়েবী মসজিদের বিপরীতে মগপুকুর পাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতো তারা। ওই ঘরের এক কক্ষে পারভিন ও মতিন থাকতো। পাশের কক্ষে পারভিনের মা হোসেন আরা থাকতো।
তিনি আরো বলেন, পারভিনকে হত্যার সময় তার মা পাশের কক্ষেই ছিল। আর হত্যার সময় মা হোসনে আরা দেখে ফেলে। তাই তাকেও হত্যা করে মতিন। মতিনকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের পর জানা যাবে এ ঘটনার বিস্তারিত। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মতিনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানায়, বিয়ের পর থেকেই পারভিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় মতিনের। মগপুকুর পাড় এলাকায় বাসায় ওঠার পরও তাদের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হতো। রাতে নেশা করে এসে পারভিনকে মারধর করতো মতিন। মূলত রিকশা চালিয়ে যে আয় করতো, সে টাকা দিয়ে নেশা করতো মতিন। মা-মেয়ে গৃহপরিচারিকা ও দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন।
জয়নিউজ/অভি/শহীদ