প্রতিবছর ঋতুর রাণী হেমন্ত এলে আবহমান বাংলায় ফিরে আসে নবান্ন উৎসব। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দু’মাস হেমন্তের। হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এই উৎসব উদযাপন করা হয়। মূলতঃ অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন গ্রামবাংলায় চলে কৃষকের নবান্ন উৎসব।
শহর-বন্দরে এসব আয়োজন উঠে গেছে বললেই চলে। শহুরে জীবনে যে নবান্ন উৎসব, সেটা প্রতীকী। কিন্তু তা-ই এখন ভিন্ন ব্যঞ্জনায় নব রূপ পাচ্ছে নগরের জামালখানে।
জামালখান শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শিশুমেলার আয়োজনে বুধবার (১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ নবান্ন উৎসব। বসবে সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের মেলা।
লায়ন কামরুন মালেককে চেয়ারম্যান, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে কো. চেয়ারম্যান, সংস্কৃতিসেবী রত্নাকর দাশ টুনুকে সাধারণ সম্পাদক, শিশুমেলার পরিচালক রুবেল দাশ প্রিন্সকে প্রধান সমন্বয়ক এবং প্রকৌশলী অমিত ধরকে সমন্বয়ক করে নবান্ন উৎসব উদযাপন পরিষদ ’১৮ এর কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নবান্ন উৎসব ’১৮ এর কো-চেয়ারম্যান জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন জয়নিউজকে জনান, হেমন্তের ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসবের সূচনা। আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নবপ্রজন্মকে ঐতিহ্য বিষয়ে সচেতন করতে আমাদের এই আয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ধানকাটা মৌসুমে কৃষকের আনন্দের সীমা থাকে না। আমাদের মুখে যারা অন্ন তুলে দেয়, তাদেরকে শহুরে আধুনিক মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। নতুন করে নবান্ন উৎসবের সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। গ্রামীণ সংস্কৃতি আর শহুরে জীবনের মিলন ঘটাতে এই আয়োজন।
এ আয়োজনে থাকছে ঐতিহ্যবাহী গান, নাচ, পিঠেপুলি প্রদর্শনী, চারুশিল্প ও বইয়ের স্টল।