আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে নামছেন তাদেরকে সতর্ক করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। নৌকার সাথে ‘মল্লযুদ্ধ’ করা যাবে না।
সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটার উপস্থিতি দৃশ্যমান হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় এবারের টার্নআউট ভালো হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আছে, ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের সুবাতাস বইছে। এতোটা আশা করেনি আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নৌকার সাথে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে এমন কাজ করলে ছাড় দেয়া হবে না।
কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বদনামের ভাগিদার হতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভালো নির্বাচন করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবার রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এক হাজার ৯৬৪ জন। আর বাকি ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মোট প্রার্থীর ২৭ শতাংশই হয়ে যান স্বতন্ত্র।
আওয়ামী লীগের বর্তমান ৬০ জন সংসদ সদস্য দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ভোট যুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রতিপক্ষকে রীতিমতো কাঁপুনি ধরিয়ে ফেলেছেন।
এবারের নির্বাচনে যারা দীলয় মনোনয়ন পাননি তাদের সান্ত্বনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের সময়মতো মূল্যায়ন করবেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে হা হুতাশ করার কারণ নেই। দলের সাথে থাকুন।
শনিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে ‘উষ্মা’ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় অথচ মানবাধিকার দিবসে সমাবেশের অনুমতি পেলো না।
বিএনপির নেতৃত্বে যারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য নাশকতা করছে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো। এখানে কি ন্যায় বিচার হলো?
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিরোধী দলের আন্দোলন ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে মোকাবেলা করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদল সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো।
যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন হতে না দেওয়া। আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো। নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সতর্ক পাহারায় থেকেছে। এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনো সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। নির্বাচন বানচালের যারা চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। কারণ এ নির্বাচন হলো সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, দেশের সৃমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা।
জেএন/পিআর