তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় ২১ ও ২২ জানুয়ারি রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ২১ জানুয়ারি রাজশাহীর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী। এর আগে সন্ধ্যায় রাজশাহী শিক্ষা কর্মকর্তারা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
আদেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক আগামী ২১ ও ২২ জানুয়ারি রাশাহী জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে। ফলে এ দুদিন রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হল।
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, রোববার একদিনের জন্য পাঠদান বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে অফিস খোলা থাকবে। রোববার আবহাওয়ার দেখে আবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজশাহীতে একদিনে তাপমাত্রা কমে যায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে উত্তরের এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় মোড়া রয়েছে প্রকৃতি। বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শহরে কমে যায় মানুষের চলাচল। বেলা গড়ালেও কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার কুয়াশার মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে কুয়াশা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। শনিবার আবার ঘন কুয়াশা পড়েছে। ফলে তাপমাত্রাও কমে গেছে।
জেএন/পিআর