শেয়ার ব্যবসা, সোনা আমদানিসহ নানা ব্যবসায় জড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের নাম। যার বেশিরভাগই ছিল বিতর্কিত। এমনকি বিদেশ থেকে পলাতক-ফেরারিদের সঙ্গেও তিনি জড়িয়েছিলেন ব্যবসায়। সেইসব নিয়েই হয়েছিলেন সংসদ সদস্য। এবার সাংসদ হওয়ার পরই জড়ালেন নতুন ব্যবসায়।
স্টেপ ফুটওয়্যারের যৌথ উদ্যোগে বাজারে আসছে পরিধেয় সামগ্রীর ব্র্যান্ড ‘SAH 75’। এই ব্র্যান্ডের অধীনে পরিধেয় সামগ্রী উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাত করবে স্টেপ ফুটওয়্যার। সারাদেশে স্টেপ ফুটওয়্যারের ৯৫টি শোরুমে এসব পণ্য পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্টেপ ফুটওয়্যার নিজেরা এই ব্র্যান্ডের অধীনে কিছু জুতা উৎপাদন করবে। বাকি পণ্য দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করবে। পণ্যগুলো বিক্রি হবে স্টেপের শোরুম থেকে। এই ব্র্যান্ডের অধীনে জুতা, স্যান্ডেল, বুট, ব্যাট, প্যাড, ক্রীড়ার পোশাক ও পরিধেয় নানা সামগ্রী পাওয়া যাবে।
স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ উদ্যোগ এবং নতুন ব্র্যান্ডের নাম ঘোষণা করব। এতে সাকিব ও স্টেপ ফুটওয়্যারের সমান অংশীদারি থাকবে।’
শামীম কবির বলেন, মাইকেল জর্ডান ও নাইকি যেভাবে এক হয়ে কাজ করেছে, ঠিক সেভাবে এক হয়ে কাজ করবে সাকিব আল হাসান ও স্টেপ। সামনের দিনে ধীরে ধীরে এই অংশীদারত্ব আরও বড় হবে।
স্টেপ ফুটওয়্যার হলো কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেলি কেডসের একটি উদ্যোগ। বেলি কেডসের দুজন উদ্যোক্তাদের একজন আবদুস সাত্তার। তিনি এখন স্টেপ ব্র্যান্ডের জুতা উৎপাদন করছেন। পাশাপাশি ভ্রমণ ট্রলি ও বাসায় রাখার ব্যাগও তৈরি করছেন। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা নরসিংদীতে। বেলি কেডসের উদ্যোক্তা আবদুস সাত্তার হলেও এখনকার ব্যবসার বড় অংশ সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে শামীম কবির। জুতার পাশাপাশি তাঁদের প্রতিষ্ঠান গ্রেট লাগেজ অ্যান্ড লেদার গুডস তৈরি করে ভ্রমণের ব্যাগ ও ট্রলি। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর আদেশের বিপরীতে রপ্তানিও করে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও বিক্রি হচ্ছে এই ট্রলি ব্যাগ।
নরসিংদীতে স্টেপ ফুটওয়্যারের তিনটি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার দুটিতে তৈরি হয় ভ্রমণের অন্যতম অনুষঙ্গ ট্রলি ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক। আরেক কারখানায় তৈরি হয় জুতা তৈরির সরঞ্জাম। তিনটি কারখানাতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ডলার। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০ লাখ ডলারের ট্রলি, ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক রপ্তানি করে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ক্রেতা এখন পিয়ারে কার্ডিন, ওয়াইল্ড ক্রাফট, ক্লেইন টুলস, আমেরিকান গিয়ার ও প্যাকলাইট। ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকা ও ভারত গ্রুপটির অন্যতম বড় বাজার।
জেএন/এমআর