ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং পিএনএফ গ্রুপের প্রধানসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত পৌণে ১০টার সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো চাকুসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পিএএফ কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন শাকতলা বেপাড়ি বাড়ির মো. ফজলুর রহমানের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম প্রকাম রিয়াজ (২৮), একই জেলার গণবতী এলাকার হারুনের ছেলে মো. ইমন (১৯), হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং কুমড়ি নজিরপুরের মো. ইসমাইলের ছেলে মো. কামাল হোসেন (২০), নোয়াখালী জেলার উদয় সাধুর হাট এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে মো. বেলাল হোসেন প্রকাম সুমন (২০) এবং একই জেলার কবিরহাট থানা কালামুন্ষি এলাকার মো. নবাব মিয়ার ছেলে মো. নজরুল ইসলাম প্রকাশ বাবু (২০)।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পিএনএফ নামক কিশোর গ্যাংয়ের হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল বলে স্বীকার করে। আরো জানায়, ঘটনার সময় সবাই ডাকাতির উদ্দেশ্যে ফেনী রেলস্টেশন এলাকায় একত্রিত হয়েছিল।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার জানান, পিএনএফ কিশোর গ্যাং গ্রুপটি ফেনী রেলস্টেশন ও শহর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ফেনী জেলার রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গলি ও রোডে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাননাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও তারা সাধারণ মানুষসহ দৈনন্দিন চলাচলরত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনতাই করে থাকে।
মঙ্গলবার তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাবের টিম ফেনী রেষ্টশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রুপটির প্রধানসহ ৫জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মো. তাজুল ইসলাম প্রকাশ রিয়াজের বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় মাদক আইনে ১ টি এবং মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় একটি চুরির মামলার তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতার ৫ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/পিআর