ফাতেমা আক্তার। বাড়ি ভৈরবে। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন। সড়কের যে অবস্থা তাতে শেষ ভরসা কেবল ট্রেন। তাই মধ্যরাতে এসে ট্রেনের টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ফাতেমা।
সাড়ে আটটায় যখন সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের টিকেট তিনি পেয়ে খুশি ফাতেমা। ফাতেমার মতো কেউ ভোরে বা কেউ মধ্যরাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলো ট্রেনের টিকেটের জন্য।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল আটটা থেকে আগামী ১৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জয়নিউজকে জানান, আগাম টিকিটের দ্বিতীয় দিন চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন, একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ও চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের এক জোড়া স্পেশাল ট্রেনের মোট ৮ হাজার ৯৯৩টি টিকিট রয়েছে। স্পেশাল ছাড়া বাকি ট্রেনগুলো হচ্ছে-সুবর্ণ, তূর্ণা, মহানগর, সোনার বাংলা, মেঘনা, পাহাড়ীকা, গোধূলী, উদয়ন, চট্টলা ও বিজয়।
এসব টিকিটের মধ্যে কাউন্টারে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৫টি। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ২৫ শতাংশ। ভিআইপি ও রেলওয়ের কর্মীদের জন্য ৫ শতাংশ করে মোট ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত কোচ (বগি) রাখা হয়েছে ১৫টি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ১৮ আগস্টের টিকেট নিতে স্টেশনে ভিড়। টিকিট কালোবাজারি রোধে রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তবে অনেকে টিকেট দিতে কর্মকর্তারা সময়ক্ষেপন করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
বুধবার (৮ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ১৭ আগস্টের টিকিট। ১০ থেকে ১২ আগস্ট বিক্রি হবে ১৯ থেকে ২১ আগস্টের টিকিট। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারছেন। সুবর্ণ ও সোনার বাংলা ট্রেনে আসনবিহীন টিকিট ইস্যু হবে না। অন্য ট্রেনগুলোতে যাত্রার দিন আসনবিহীন টিকিট পাওয়া যাবে।