চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হানিফ হত্যা মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় ছুরি এবং সেভেন গিয়ার ছুরিসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন হলেন, ছুরিকাঘাতে নিহত হানিফের স্ত্রী নুরজাহার আক্তার আঁখি, শ্বশুর খোরশেদ মোল্লা, শাশুড়ি রহিমা বেগম, শ্যালক আরিফ মোল্লা ও তার বন্ধু দেলোয়ার হোসেন বাবু।
এদের মধ্যে নুরজাহান ও তার মাকে ঘটনাস্থল থেকে, খোরশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইট থেকে এবং আরিফ ও বাবুকে নগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মো. হানিফ (৩৫) ছিলেন আসামী খোরশেদ আলম মোল্লার বড় মেয়ের স্বামী। ভিকটিম হানিফ ও আখির বিয়ের সাত বছরের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল।
গত ১৫ জুন ভোর ৫টা ৫ মিনিটে শিশুকন্যা হাবিবার (৩) অসুস্থতার খবর পেয়ে হানিফ শ্বশুরবাড়িতে যান।
সেখানে পূর্বের মতো তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে খোরশেদ আলম তার পাঞ্জাবির পকেটে রাখা ছুরি দিয়ে হানিফের বুকে আঘাত করেন।
হানিফ আহত অবস্থায় পালিয়ে গেলে খোরশেদ, তার ছেলে আরিফ ও দেলোয়ার তাকে ধাওয়া করে মাঝের ঘোনার ফরিদের বাড়ির সামনে ধরে ফেলে।
এরপর রাস্তার ওপর ফেলে ধারালো দেশীয় ছুরি ও সেভেন গিয়ার ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার পরদিন ১৬ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নিহত হানিফের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা (মামলা নং-২২/২৫, ধারা ৩০২/৩৪) রুজু করা হয়।
মামলার পর এসআই (নিরস্ত্র) মো. নুর ইসলাম ও এসআই কাজী আবিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সব আসামিকে গ্রেফতার করে।
আরিফ মোল্লার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় ছুরি দুটি ডাইনিং টেবিলের নিচ থেকে এবং সেভেন গিয়ার ছুরি দুটি ড্রেসিং টেবিলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খোরশেদ আলম মোল্লা ও তার ছেলে আরিফ মোল্লা আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
জেএন/পিআর