চাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন, প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সংশোধিত গঠনতন্ত্র সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। এতে ভোটার ও প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কার্যনির্বাহী কমিটি ২৮ সদস্যবিশিষ্ট ও সংসদের মেয়াদ এক বছর করা হয়েছে।

- Advertisement -

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেটে এই সংশোধিত গঠনতন্ত্র পাস হয়।

- Advertisement -google news follower

গঠনতন্ত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্রে চাকসুর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হয়েছে–

- Advertisement -islamibank

১. শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করা, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টি ও বিকাশ করা এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে কাজ করা।

২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা ইত্যাদি।

সদস্যপদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা

চাকসু ও হল সংসদের ভোটার বা প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এম.ফিল বা পিএইচডি.ডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত রয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থান বা হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, দাপ্তরিকভাবে বার্ষিক সদস্যপদ ফি প্রদান করেছেন এবং তার বয়স তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ৩০ বছরের অধিক নয়।

এ ছাড়া সান্ধ্যকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের মেয়াদকাল হবে শপথ গ্রহণের পর থেকে এক বছর। মেয়াদান্তে উক্ত কার্যনির্বাহী কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে।

কার্যনির্বাহী কমিটি

চাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটি ২৮ সদস্যের হবে। এতে ৫ জন নির্বাহী সদস্যসহ ২৬ জন নির্বাচিত হবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকার বলে সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে যে কোনো একজন উপউপাচার্যকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন। উপউপাচার্য না থাকলে একজন অধ্যাপককে মনোনীত করতে পারবেন। এ ছাড়া সংসদের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করবেন।

নির্বাচন বিধি

সভাপতি নিজে অথবা তার নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন আয়োজন, তারিখ ও সময় নির্ধারণের দায়িত্বে সভাপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে। সভাপতি চাকসু নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করবেন।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু গঠনতন্ত্র আমি এখানো হাতে পাইনি। আগামী রোববার এটি হাতে পাবো। তারপর সভা ডেকে যতদ্রুত সম্ভব তফসিল ঘোষণা করা হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ