বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগী পাহাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
খোরশেদ আলম ২০২৪ সালের ৫ জুন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই তিনি নানা অভিযোগের মুখে পড়েন।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জামায়াত নিয়ন্ত্রিত চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ এবং ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
পরদিন ৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিজয় মিছিলের পর সহিংসতার অভিযোগও আনা হয়।
২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আত্মগোপনে থাকা খোরশেদ আলমকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
অবশেষে মামলার এক বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করায় বাঁশখালীতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরি এসেছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালি থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুনেছি।
তাকে আদালতে তোলা হলে বাঁশখালী থানার মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য আবেদন করা হবে।