কাপ্তাইয়ের রাইখালীর পূর্ব কোদালা এলাকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টায় বস্তাবন্দি লাশ নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গৃহশিক্ষক অংবাচিং মারমাকে (৪৫) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অংবাচিং রাইখালীর বড়খোলা পাড়ার উসাখৈ মারমার ছেলে।
স্কুলছাত্রী মিতালী মারমা (৯) রাইখালীর পূর্ব কোদালা এলাকার সাথুই অং মারমার মেয়ে। সে পূর্ব কোদালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহশিক্ষক অংবাচিং পুলিশকে জানায়, মিতালী মারমাকে অতিরিক্ত পড়ানোর বাহানায় বসিয়ে রাখেন তিনি। সবাই চলে যাবার পর তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গেলে সে চিৎকার শুরু করে। এতে অংবাচিং ভয় পেয়ে মিতালীর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ বস্তা ভরে ঘরের সিলিংয়ের উপর লুকিয়ে রাখেন তিনি।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় গৃহশিক্ষক অংবাচিং মারমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিতালীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।