ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলসহ একাধিক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন নিহত ডা. আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের রিমান্ডের শেষ দিনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ আবদুল কাদের জয়নিউজকে বলেন, চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো এতদিন অস্বীকার করলেও আজ (শুক্রবার) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম ও পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার বিজয় বসাকের কাছে মিতু একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। আগামীকাল (শনিবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ, গত ৩১ জানুয়ারি রাতভর আকাশের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ওই সময় আকাশের বাসায় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়। যে ভিডিওতে মিতু তার একাধিক বন্ধুর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পকের কথা স্বীকার করেন। দু’জনের ঝগড়ার একপর্যায়ে মিতুর বাবা ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল হক চৌধুরী দিবাগত রাত ৪টার দিকে স্বামীর বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। এরপর আকাশ ফেসবুকে মিতুকে জড়িয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে শরীরে ইনসুলিন ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনার পরদিন শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় আকাশের স্ত্রী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে আটক করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় সিএমপির চান্দগাঁও থানায় আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় মিতুকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন আকাশের মা জোবেদা খানম। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মিতুকে আদালতে হাজির করে ৭ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিতুকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
জয়নিউজ/রুবেল/জুলফিকার