নেইমার ও এডিনসন কাভানি চোটের কারণে দলে নেই। পিএসজিকে হারানোর মোক্ষম সুযোগ ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সামনে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ম্যানইউ। উল্টো ইতিহাস গড়েছে পিএসজি। প্রথম ফরাসি দল হিসেবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয়ের কীর্তি গড়েছে তারা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজেদের মাঠে এটিই ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় হার। এই হারে ইউনাইটেডের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই ঝাপসা হয়ে গেল। ম্যাচের শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া পল পগবাকে ছাড়াই আগামী ৬ মার্চ পিএসজির মাঠে ফিরতি লেগের কঠিন লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের।
ইউনাইটেডের মাঠে পিএসজির জয়ের নায়ক ইউনাইটেডেরই প্রাক্তন খেলোয়াড় অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার কোনো গোল করেননি, তবে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুই গোলই। ম্যাচের শুরু থেকেই ইউনাইটেডের সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে তাকে। তাকে উদ্দেশ্য করে ছুড়ে মারা হয়েছিল বিয়ারের বোতলও। দুই গোল করিয়ে ডি মারিয়া অপমানের প্রতিশোধ নিলেন দারুণভাবেই।
নেইমার-কাভানিকে ছাড়া খেলতে নামা পিএসজির গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে কিছুটা। প্রথমার্ধ কেটেছে গোলশূন্যতায়। দ্বিতীয়ার্ধে সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ইউনাইটেডের সমর্থকদের হতাশায় ডোবায় অতিথিরা।
৫৩ মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার থেকে বল পেয়ে যান প্রেসনেল কিম্পেম্বে। খুব কাছ থেকে বাঁ পায়ের টোকায় পিএসজিকে এগিয়ে নেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার। ৬০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন কিলিয়ান এমবাপে। ডি মারিয়ার ক্রস ছোট ডি বক্সের বাইরে পেয়ে দারুণ শটে বল জালে পাঠান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
দুই গোল হজমের পর আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। উল্টো ৮৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইউনাইটেডের ফরাসি মিডফিল্ডার পগবা।