উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ার কারণে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়াকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (১৬ সার্চ) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাকে এলাকা ছাড়ার কথা উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে ইসি।
একই ধরনের অভিযোগে কক্সবাজার-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাকে রোববার (১৭ মার্চ) বিকাল ৫টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আপনার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকা গাইবান্ধা-৫ এর আওতাধীন সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে একজন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণসহ নির্বাচনি বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এতে বলা হয়, যেহেতু আপনি বিধিবহির্ভূতভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাই আপনাকে গাইবান্ধা-৫ এর আওতাধীন নির্বাচনি এলাকা ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ত্যাগ করতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছেন। উল্লেখ্য যে, আপনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে নির্বাচন বন্ধ হলে ওই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন তথা সরকারের যে আর্থিক ব্যয় হবে পরবর্তীতে তার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হবে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার নির্বাচনি এলাকার আওতাধীন ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদের ভোট ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে সাইমুম সরওয়ার কমলের নির্বাচনি এলাকার আওতাধীন কক্সবাজার সদর ও রাম উপজেলার ভোট তৃতীয় ধাপে আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রথম দফার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে ৯ জন সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনায় তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয় এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়।