আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরকে ধূমপানমুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়াও তিন মাসের মধ্যে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত সব স্কুল-কলেজের সামনে থেকে পান-সিগারেটের দোকান উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিটা-ক্যাব-ইলমা আয়োজিত ধূমপান ও তামাক বিরোধী সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন নিজ উদ্যোগে ধূমপান বিরোধী নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এজন্য চলতি অর্থবছরে দুই কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয়, জনবল ও অর্থ সংকটের কারণে অনেক পরিকল্পনাই আলোর মুখ দেখেনি। এক্ষেত্রে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ধূমপায়ীদের একঘরে করে দিতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
নিজেকে অধূমপায়ী উল্লেখ করে নগরপিতা বলেন, আমি জীবনে কখনো পান কিংবা সিগারেট খাইনি। কারণ ধূমপান মাদকাসক্তের প্রথম ধাপ। ধূমপানের মাধ্যমে একজন মানুষ মাদকাসক্তের দিকে পা বাড়ায়। ধূমপান আর্থিক ও শারীরিকভাবে একজন মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি করে। একজন ধূমপায়ী ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত হন। তিনি মনে করেন, ধূমপান না করলে তার শরীরের কিছুই ঠিকমত হয় না। কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে এটির কোনো ভিত্তি নেই।
আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরকে ধূমপানমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে ধূমপানমুক্ত নগরে পরিণত করে পুরো দেশকে বার্তা দেওয়া হবে। দরকার হলে, নগরের বিভিন্নস্থানে ধূমপায়ীদের জন্য আলাদা জোন করা হবে। প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত, ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, সিটিএফকে বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. শরিফুল আলম। আলোচনা সভার পরে কবিয়াল মো. ইউসুফ ও কবিয়াল নিরঞ্জন সরকার ধূমপান বিরোধী কবিগান পরিবেশন করেন।