রাউজানের কাগতিয়া মাদ্রাসা একাত্তর সালে রাজাকারের ক্যাম্প ছিল। ওই ক্যাম্পে রাজাকারদের সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা মুছা। তাই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কাগতিয়া মাদ্রাসা বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন রাউজানের মুক্তিযোদ্ধারা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টার সময়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধারা সাংবাদিক সম্মেলন করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, একাত্তর সালে কাগতিয়া মাদ্রাসা রাজাকার ক্যাম্প ছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা কাগতিয়া মাদ্রাসা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধা মুছা শহীদ হয়। কাগতিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে কাগতিয়া মাদ্রাসা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা মোজ্জামেল হক, হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছার ও রিক্সা চালক শামশুল আলমের ওপর হামলাকারী মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটির সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৭ এপ্রিল বুধবার বিকালে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা মোজ্জামেল হককে মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীরা গতিরোধ করে প্রহার করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ারের ওপর হামলা করে তারা।
হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনায় মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীদের আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী । সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সাহাবুদ্দিন, জেলা ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার কামাল জুনু, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদ, হাশেম চৌধুরী, সিরাজুল হক, চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহম্মদ, সুনিল চক্রবর্তী, হাশরার শিকার মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা ইউছুপ খান, অলকেস বড়ুয়া ও সাধন পালিত ।