হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা ফার্নেস ওয়েল ভর্তি ওয়াগনগুলো খালের পানির সঙ্গে মিশে হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন খালে বাঁধ দিয়ে তেলের প্রবাহ আটকানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জয়নিউজকে মুঠোফোনে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে খালে বাঁধ দিয়ে তেলের প্রবাহ আটকানোর জন্য চেষ্টা করছি। তেলটা কতটুকু ছড়িয়েছে তা দেখার বিষয়। প্রয়োজনে খালের শেষ অংশ পর্যন্ত যাব। সরু অংশ পেলেই বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ টা স্থানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এখন পানির প্রবাহ খুবই কম। হালদা নদীতে পৌঁছানোর আগেই কিছু একটা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, কয়েক বছর আগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ফার্নেস ওয়েল হালদার পানিতে মিশে অনেক মা-মাছসহ নদীর জীববৈচিত্র্য মারা গেছে। হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার এখনই খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এখন এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জয়নিউজকে জানান, চট্টগ্রামের সিজিপি ওয়াই ইয়ার্ড থেকে হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশে ফার্নেস অয়েল নিয়ে যাওয়ার পথে পৌরসভার দেওয়াননগর এলাকায় খালের উপর সেতুতে উঠতে গিয়ে গার্ডার ভেঙে ওয়াগনগুলো লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
প্রতিটি ওয়াগনে ২৫ টন করে ৩টি ওয়াগনে মোট ৭৫ টন ফার্নেস অয়েল মজুদ ছিল। এরমধ্যে ১টি ওয়াগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য ২টি ঠিক আছে।