ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে মাংসের দোকানে হাজির ইউএনও, অতঃপর…

সময় তখন বেলা ১২টা ২২ মিনিট। ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে হাটহাজারী পৌরসভার কাচারি রোডের কাঁচাবাজার প্রকাশ বউ বাজারে মাংসের দোকানে হাজির হলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। এসময় মাংস ক্রয়ের ইচ্ছা পোষণ করলে দোকানদার ইউএনওকে গরুর মাংসের দাম হাকালেন কেজি ৭০০ টাকা, তাও আবার একদাম।

- Advertisement -

আরো দুই দোকানেও কেজি প্রতি মাংসের দাম ৭০০ টাকা হলেও বিক্রেতা ইউএনওকে ৫০ টাকা সম্মান করবে জানিয়ে মাংসের দাম ৬৫০ টাকা রাখা হবে বলে জানায়।

- Advertisement -google news follower

এসময় ইউএনও ৬৫০ টাকায় নয় ৭০০ টাকা দিয়েই গরুর মাংস কেনেন। পরবর্তীতে ছদ্মবেশ ছেড়ে নিজের পরিচয় দিলেন। ততক্ষণে সব মাংস বিক্রেতার চোখ কপালে উঠে গেছে। মুহূর্তেই কমিয়ে দিলেন মাংসের দাম। তাক্ষণিক ইউএনওর সঙ্গে থাকা পুলিশ ওই তিন মাংস বিক্রেতাকে আটক করে।

এদিকে বেশি দামে মাংস বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই তিন মাংস বিক্রেতাকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

- Advertisement -islamibank

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, পণ্যের মূল্য তালিকার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। বিক্রেতারা পণ্যের মূল্য তালিকা বিন্দুমাত্র অনুসরণ করছে না। পরশুদিন মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছিল। তারা বলেছিল, গরুর মাংস (হাঁড়সহ) কেজি প্রতি ৫০০ টাকা এবং হাড় ছাড়া কেজি প্রতি ৫৯০ টাকায় বিক্রি করবে। অথচ তারা বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছে।

অন্যদিকে হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর এলাকায় একটি ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ করে ইউএনও রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার পরিচালিত এ অভিযানে ওই এলাকার ৩ রুমের ছোট একটি কারখানায় লাল সার, ডালডা, পামওয়েল, ফ্লেভার, ক্ষতিকর রংসহ নানা উপকরণ দিয়ে ভেজাল ঘি তৈরি করছিলেন কারিগর আব্দুল আওয়াল।

জানা যায়, এসব ঘি পাইকারি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাঘা বাড়িসহ ১০টি ব্রান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বাজারে সরবরাহ করতেন আব্দুল আওয়াল নামে এক ব্যাক্তি। নকল ঘি তৈরি এবং বাজারজাত করার দায়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভেজাল ঘি তৈরি না করার মুচলেকা নেওয়া হয়।

এছাড়া রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং করতে উপজেলার চৌধুরী হাট বাজার এলাকার আরও একটি অভিযান পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খিসা।

এসময় তিনি বলেন, গরুর মাংসের দাম ৬৫০-৬৮০ টাকা। মোবাইল কোর্ট আসলে ওই দাম কমে হয় ৫০০ টাকা। এমন প্রতারণার চেষ্টা হাতেনাতে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে এবং তিন দোকানিকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা ও ভবিষ্যতে না করার সর্তকতা করা হয়েছে।

তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরির জন্য আরো কিছু দোকানিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান তিনি।

জয়নিউজ/আবু তালেব/শহীদ
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM