পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার সুখ্যাত সারা দেশজুড়ে। ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রমজান মাসে এখানে মানুষ আসে রকমারি ইফতারের স্বাদ নিতে। ঢাকার মতো না হলেও চট্টগ্রামের চকবাজারের বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টেও রমজান মাসে থাকে ইফতারির বিশেষ আয়োজন। ক্রেতারাও প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব রেস্টুরেন্টে আসেন ইফতারি কিনতে।
চিকেন চাপ ও চিকেন শর্মার জন্য বিখ্যাত সাদিয়া’স কিচেন। চকবাজারে আছে তাদের একটি শাখা। রমজান মাসে প্রতিদিন তারা বিক্রি করছেন হরেক রকমের ইফতারি। এসব ইফতারির মধ্যে রয়েছে চিকেন চাপ, চিকেন শর্মা, চিকেন জালি কাবাব, বটি কাবাব, চিকেন গ্রিল, টিক্কা, ডিম চপ, চিকেন রোল, চিকেন হালিম, বিফ হালিম, পরটা, স্পেশাল নান ইত্যাদি।
সাদিয়া’স চিকেনের চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ জয়নিউজকে বলেন, যেহেতু আমাদের রেস্টুরেন্ট চিকেন চাপ ও চিকেন শর্মার জন্য বিখ্যাত, তাই এই দুটি আইটেমই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমাদের এখানে দুই পদের হালিম আছে। সেগুলোও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, চিকেন হালিম প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা ও বিফ হালিম প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হালিমের জন্য বিখ্যাত চকবাজারের সবুজ হোটেল। সবুজ হোটেলের হালিম খাওয়ার জন্য মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। রমজানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখানে ইফতারের অন্য পদের পাশাপাশি হালিম বিক্রি হচ্ছে বেশ।
এখানকার বিক্রয়কর্মী মো. সিরাজ জয়নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে খাসি ও গরুর মাংসের হালিম বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা এবং চিকেন হালিম ৫০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ইফতারির মধ্যে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, সবজি বড়া, সিঙ্গারা, ছমুছা, চিকেন ও সবজি রোল, মরিচা ইত্যাদি ইফতারিও বিক্রি হচ্ছে।
সবুজ হোটেলে হালিম কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জয়নিউজকে বলেন, সবুজ হোটেলের মতো হালিম অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাদের হালিমের স্বাদ অন্যরকম। আমি অনেক হোটেলের হালিম খেয়েছি, কিন্তু সবুজ হোটেলের মতো স্বাদ হয় না।
চকবাজারে সাদিয়া’স কিচেন ও সবুজ হোটেল ছাড়াও হোটেল জামান, সাম্পান, চক মালঞ্চ, পাতিল ইত্যাদি রেস্টুরেন্টেও নানা স্বাদের ইফতারি বিক্রি হচ্ছে।