দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৪ টাকা। অন্যদিকে আমদানি করা মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশে উৎপাদিত মসুর ডালের মজুদ ফুরিয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানিকারক দেশে উৎপাদন কমায় আমদানি ব্যয় বাড়ছে। এতে এই ডালের দর বেড়েছে।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জয়নিউজকে জানান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় মসুরে ডালের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দেশী মসুর ডালের ফলন কম হওয়ায় সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকার ফলে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে।
খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আমদানি করা মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সোমবার (২৭ মে) খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে দেখা যায় ভালো মানের দেশীয় উৎপাদিত মসুর ডাল ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের মসুর ডাল ১০০-১০২ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগেও দেশে উৎপাদিত এসব মসুর ডাল ৯০-৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত মসুর ডালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা বেড়েছে।
চট্টগ্রাম ডাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম মহিম জয়নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন বাজার নিম্নমুখী থাকায় তারা মসুর ডালের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে পাইকারি বাজারে পণ্যটির মজুদ কমতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত আমদানির কারণে চলতি বছর মসুর ডাল ব্যবসায়ীরা লোকসানের শিকার হয়েছেন। চাহিদা স্থির থাকলেও মজুদ কমে আসার জের দরে পাইকারি বাজারে আমদানি করা ও দেশে উৎপাদিত দুই ধরনের মসুর ডালের দামই বাড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয় ডাল ব্যবসায়ী তৈয়বিয়া ট্রেডাসের পরিচালক সোলাইমান বাদশা জয়নিউজকে বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে মোকাম মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন মসুর ডালের দাম কম ছিল।
এ সময় দেশীয় আমদানিকারকরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত মসুর ডাল আমদানি করেছেন। দেশে প্রায় পাঁচ লাখ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। এ কারণে খাতুনগঞ্জের মোকামগুলোয় পণ্যটির বড় ধরনের মজুদ গড়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। বাড়তি আমদানি ও মজুদের কারণে কয়েক মাস ধরে মসুর ডালের দাম কমতির দিকে ছিল। দেশীয় মসুর ডাল দাম কারণ হচ্ছে পণ্যটির উৎপাদন কম। যার ফলে দেশী পণ্যের দাম বেড়েছে।