সংসদ নিয়ে বিএনপির স্ববিরোধিতা পরিষ্কার। পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও শপথ নিলেন না, তার জায়গায় আবার বিএনপির জেলা সভাপতি নির্বাচন করছেন। এই নীতি নিয়ে যারা চলেন তারা আন্দোলনে অতীতেও ব্যর্থ হয়েছেন, আগামীতেও ব্যর্থ হবেন।
শপথ নিয়ে রুমিন ফারহানা যে সংসদকে অবৈধ বলেছেন, সেই সংসদেই তার যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদ যদি অবৈধ হয়, তিনি অবৈধ সংসদের অবৈধ সাংসদ কিনা? সেটা বলুন। যে সংসদ অবৈধ সে সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য এত সিরিয়াস হলেন কেন? সংসদ অবৈধ হলে তিনি কি বৈধ? তাহলে কোন বৈধতার সূত্রে তিনি কথা বলবেন?
সংসদ সদস্য হিসেবে রোববার শপথ নেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় রুমিন ফারহানা বলেন, এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। খুব খুশি হব, আমার সাংসদ হওয়ার মেয়াদ একদিনের বেশি না হলে। আমি চাই যেন অতি দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠিত হয়।
একাদশ সংসদকে অবৈধ হলে কেন শপথ নিলেনে এর ব্যাখ্যায় রুমিন বলেন, জাতীয় সংসদকে ‘গণতান্ত্রিক স্পেস’। দল, দেশ ও মানুষের কথা বলার জন্য সংসদে যোগ দিয়েছি।
একাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির ৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন এবং স্বতন্ত্র জোটের ১ জন রয়েছেন।