১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু হওয়া দেশের প্রথম আবৃত্তি স্কুল বোধনের দুই দিনব্যাপী ‘প্রোজ্জ্বল ৫০’সমাবর্তনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
‘অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে, নির্মল করো উজ্জ্বল করো, সুন্দর করো হে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার বৃন্দ পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।
এরপর হয় প্রদীপ প্রজ্বলন। তারপর ছিল কথামালা। এতে অংশ নেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক আনোয়ারা আলম, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন কৈশোর, মনির হোসেন, আহসান উল্লাহ তমাল ও বোধন আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা দীপ্তি রক্ষিত। সভাপতিত্ব করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম আবদুল আজিজ।
এসময় বক্তারা বলেন, সংস্কৃতিমনষ্ক মানুষই পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর হতে। আর সেই চেতনায় বোধন পথ চলছে অবিরত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে বোধন আবৃত্তি স্কুলের পথচলা অব্যাহত থাকবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে একক পরিবেশনায় অংশ নেন মাসুম বিল্লাহ আরিফ (চবি আবৃত্তি মঞ্চ), মেজবাহ চৌধুরী (সন্দীপনা), সেলিম রেজা সাগর (কণ্ঠনীড়), বৃষ্টি পুরোহিত (শব্দনোঙর), সেলিম ভুঁইয়া (স্বদেশ), শুভাশীষ শুভ (অযান্ত্রিক), সাইদুল করিম সাজু (বর্ণ), রণধীর দে (একুশ), সঞ্জীব বড়ুয়া, মাহবুবুর রহমান মাহফুজ (নির্মাণ), বোধনের আবৃত্তিশিল্পী পুনম দাশ, অনন্যা পাল, অর্পিতা দাশ। উপস্থাপনায় ছিলেন গৌতম চৌধুরী, সকাল শুভ ও অজান্তা টুম্পা।
অন্যদিকে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিকাল ৫টায় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আবৃত্তিশিল্পী সম্মিলন এবং চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের বাইরের আবৃত্তিশিল্পীদের পরিবেশনা। এবারের এ পুরো আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে বোধনের প্রাণপুরুষ দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিতকে।