চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলি। সোমবার (১৭ জুন) সকালে মেয়রের কার্যালয়ে আসেন হাইকমিশনার।
সিটি মেয়র হাইকমিশনারকে চট্টগ্রামে স্বাগত জানান। এ সময় মেয়র নাছির ও রিভা দাশ গাঙ্গুলি দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাশ মোদিকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে অভিনন্দন জানান মেয়র নাছির।
মেয়র বলেন,চট্টগ্রাম হচ্ছে ব্যবসায়িক হাব। বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির জন্য বে-টার্মিনাল, কন্টেইনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে বন্দরের যে সক্ষমতা আছে, তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের ইকোনমিক জোনগুলোতে ভারত শিল্প-কারখানা করছে। কিন্তু চট্টগ্রামে আরো বিভিন্ন খাত রয়েছে, যেখানে ভারত বিনিয়োগ করতে পারে। তাই চট্টগ্রামে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে নমনীয় ঋণ চুক্তির আওতায় চট্টগ্রামে এলইডি প্রকল্প উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। এটা ভারত সরকারের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। শুধুমাত্র ঘর-গৃহস্থালির কাজে নয়, এলইডি বাল্বের সাহায্যে আলোকিত হবে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের পথ-ঘাটও। দিনের যে সময়টিতে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে, সেই সময় এলইডি বাতি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এতে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে। জ্বালানী সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বের সাহায্যে অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এবং পরিবেশ রক্ষায়ও সহায়ক হবে।
তিনি এলইডি প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, শিগগির এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সামসুদ্দোহা, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিকের প্রধান পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, মেয়রের একান্ত সহকারী মুফিদুল ইসলাম প্রমুখ।