যদি প্রশ্ন উঠে চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটিং লাইনআপ কার? নি:সন্দেহে সবাই উত্তর দিবে ইংল্যান্ড। তিনশো-সাড়ে তিনশো রান তাদের জন্য যেন হাতের মোয়া। ইংলিশরা তা আরেকবার প্রমাণ করল আফগানদের বিপক্ষে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও রানের পাহাড় গড়লো ইয়ন মরগানের দল। সঙ্গে গড়লো চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
মরগানের ৭১ বলে ১৪৮ রানের ভয়ংকর ক্যাপ্টেনস নকে ভর করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৯৮ রান।
বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।
তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লাকের নেতৃত্বাধীন দল।
বিশ্বকাপের মঞ্চ যে কত কঠিন, সেটি হারে হারেই টের পাচ্ছে আফগানিস্তান। বড় দলগুলোকে হারিয়ে দেয়ার হুঙ্কার ছেড়ে বিশ্বকাপে আসা দলটি এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও লড়াই করতে পারেনি।
ম্যানচেস্টারে হট ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল করতে নেমে আরও একবার বাস্তবতা টের পেলেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন বেয়ারস্টো-রুট মরগানরা।
জনি বেয়ারস্টো একটুর জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৯৯ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ইংলিশ ওপেনার আউট হন ৯০ রানে। ৩১ বলে ২১ করে সাজঘরে ফেরেন জেমস ভিন্স।
দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ভিন্স আউট হওয়ার পর বেয়ারস্টো আর জো রুট দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ১২০ রান। এরপরই সবচেয়ে ভয়ংকর জুটিটা মাঠে দাঁড়িয়ে যায়।
তৃতীয় উইকেটে মরগানের সঙ্গে রুট ১০১ বলে গড়েন ১৮৯ রানের জুটি। গুলবাদিন নাইবের বলে রুটের আউটে ভাঙে এই জুটি। ৮২ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ৮৮ রান।
তবে মাঠে আসার পর থেকে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত রীতিমত তান্ডব চালিয়ে গেছেন মরগান। ৭১ বলে ১৪৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ইংলিশ অধিনায়কও হন নাইবেরই শিকার।
তবে তার আগে বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়ে গেছে মরগানের। ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে কোনো ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটিই।
শেষদিকে বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে আফগানিস্তান। ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট ফেলে দেয় তারা। এরপর আরও কয়েকটি উইকেট হারানোয় চারশ হয়নি ইংল্যান্ডের।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন গুলবাদিন নাইব আর দৌলত জাদরান।