নগরের চান্দগাঁওয়ে এক বিএনপি নেতার বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই বিএনপি নেতার অভিযোগ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি ও নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী সিরাজের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। তবে গাজী সিরাজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে চান্দগাঁওয়ের মনোরোমা আবাসিক এলাকায় চন্দনাইশ পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নুরুল আনোয়ার জয়নিউজকে বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল ডা. শাহাদাত। আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় হঠাৎ উনি ফোন করে আমাকে বলে, বাসায় থাকতে, আমাকে দেখে নিবে। এরপর বিকেল ৫টার দিকে গাজী সিরাজ ও ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে ৩০-৩২ জন সন্ত্রাসী আমার বাসায় হামলা চালায়। এসময় তারা আমার বাড়ি ভাংচুর এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
একটি সূত্র জানায়, ১৮ জুন রাতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের বাসায় চন্দনাইশ উপজেলা, পৌরসভা ও দোহাজারী পৌরসভার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ২৫ জুন তৃণমূলের মতবিনিময় সভা সফল করতে চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ার, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সওদাগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় নেতাকর্মীরা মতামত দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে অনেক বক্তব্য আসে। বিষয়টি ডা. শাহাদাতের কানে গেলে তিনি নুরুল আনোয়ারের উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে বুধবার (১৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে ফোন করে নুরুল আনোয়ারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
অভিযোগের বিষয়ে নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ জয়নিউজকে বলেন, পশ্চিম বাকলিয়ার ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরকে নুরুল আনোয়ার সাহেবের ছেলে ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে ধাক্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা উনার বাসায় হামলা চালায় বলে খবর পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এটি তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করার সুযোগ নেই। আমি মহানগরের একজন দায়িত্বশীল নেতা। এত সাধারণ বিষয়ে আমি সরাসরি হামলায় অংশগ্রহণ করেছি এই অভিযোগ করা দুঃখজনক।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জয়নিউজকে বলেন, চন্দনাইশ পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাসায় হামলার খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।