টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে চীনের ডালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে শুধু কয়েকটি বৃহৎ অর্থনীতির সক্ষমতা অথবা তাদের প্রয়োজনের আঙ্গিকেই সবকিছু দেখি। কিন্তু টেকসই বিশ্বের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীসমূহের অথবা অপেক্ষাকৃত দূর্বল অর্থনীতিগুলোর মূল উদ্বেগ নিরসনের উপায়ও বের করতে হবে।
আমার পাঁচ দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আমাকে বলছে যে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ও দূর্বল অর্থনীতিকে মাথায় রেখেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে হবে।
পদক্ষেপগুলো হচ্ছে-
প্রথমত: দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক শান্তি-সম্প্রীতি স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি।
দ্বিতীয়ত: টেকসই উন্নয়নের সব দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তৃতীয়ত: দেশগুলোর পারস্পারিক স্বার্থে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
চতুর্থত: সবার জন্য সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে।
পঞ্চমত: প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল বলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। একইভাবে, বঙ্গোপসাগর একটি উদীয়মান ও সমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলে ১.৫ বিলিয়ন লোকের বাস। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের আশপাশে বসবাসকারী মানুষের উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটিকে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রবণতা রয়েছে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন।