সীতাকুণ্ডে এবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে ছয় বছর বয়সী এক মেয়েশিশু। পরে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে জুতাপেটা করে ছেড়ে দেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তবে তিনদিন পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে জুতাপেটার একটি ভিডিওচিত্র ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তাকে আটকের জোর দাবি উঠে। যারা তাকে জুতাপেটার পর ছেড়ে দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়।
রোববার (৭ জুলাই) ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষণকারীকে এক ব্যক্তি জুতাপেটা করছেন। এসময় ধর্ষিতা শিশুটির মা’র কাছ থেকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়।
ধর্ষণকারীর নাম মো. শাকিল (২৮)। সে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকার সর্দার নুরুল আলমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে শাকিল ওই এলাকার ছয় বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে জুতাপেটা করে। এসময় কয়েকজন লোক ধর্ষণকারীর পক্ষ নিয়ে পরবর্তীতে বিচার হবে বলে তাকে ছেড়ে দেয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে শাকিলের লালসার শিকার হয়। ঘটনার পরপরই তাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শনিবার (৬ জুলাই) শালিসি বৈঠক করে ধর্ষণকারীর বাবা সমাজ সর্দার নুরুল আলমকে সর্দার পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে তার ছেলেকে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। ফলে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ জয়নিউজকে বলেন, শিশু ধর্ষণের বিষয়টি জানা নেই। কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।