চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নিদের্শনায় জলজটমুক্ত হয়েছে বিমানবন্দর সড়ক। লন্ডন থেকে ফিরে এসেই বিমানবন্দরগামী সড়কের জলজট সম্পর্কে অবহিত হন মেয়র। তখনই এই সড়ক থেকে পানি সরাতে তিনি চসিক কর্মকর্তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
মেয়রের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে কাজে নেমে পড়েন চসিক প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। সঙ্গে ছিলেন জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নিয়োজিত সেনাবাহিনী এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রকৌশলীরা। এই তিন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে দিনব্যাপী চলে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে রুবি সিমেন্ট গেইট পর্যন্ত নালার উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ। এতে যুক্ত করা হয় অত্যাধুনিক স্কেভেটর ও আরসিসি কাটার যন্ত্রপাতি।
জানা যায়, বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিমানবন্দর সড়ক। পানির ঢল ভেঙে চলাচল করতে হয় পথচারী ও যানবাহনকে। আগে রুবি সিমেন্ট কারখানা দিয়ে পানি চলাচলের পথ ছিল।
বিগত প্রশাসনের আমলে রুবি সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ চসিকের এই রাস্তার জায়গা তাদের সীমানার মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়। এতে রাস্তার পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি হলে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে রুবি সিমেন্ট কারখানা গেইট পর্যন্ত অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে রাস্তার এই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য রুবি সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে তারা কোনো কর্ণপাতই করেনি।
জনদুর্ভোগ লাঘবে সিটি মেয়রের নির্দেশ পেয়ে চসিক, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও চউক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে রুবি সিমেন্ট গেইটের অংশ ভেঙে ৬ ফুট প্রশস্ত ড্রেন তৈরি করা হয়। এই ড্রেনটি রুবি সিমেন্ট কারখানার পেছনে ৭নং খাল দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে।
এ কাজে সহায়তা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, নগর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মাইনুদ্দীন, মেজর মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হামিদ, মোহাম্মদ আলী, ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল হুদা।