নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরে নির্মাণাধীন ভবন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আছে কি-না তা তদারকির জন্য চসিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।
একইসঙ্গে ভবনের ছাদ, কার্নিশ, রিজার্ভার, ফুলের টব, ছাদবাগানে পানি জমে থাকলে জরিমানা করা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ অভিযান শুরু হবে।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কনফারেন্স রুমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসবে, সেখানে কারও ডেঙ্গু হয়ে থাকলে তা এখানে ছড়াতে পারে । এটি আশঙ্কার কথা । আমাদের রাত-দিন বিভেদ নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তার রুটিন মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। চসিক অনেক আগে থেকে নগরবাসীকে সচেতন করতে কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রামের দৈনিক পত্রিকাসমূহে একাধিকবার বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রতি ওয়ার্ডে মাইকিং, ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ, বিনামূল্যে নগরস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি এবং চসিক জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছি। কিটস শেষ হওয়ায় গত দুইদিন বন্ধ আছে। সোমবার থেকে আবার চালু হবে। এই কিটস চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করা হয় এবং হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগ যতদিন থাকবে ততদিন এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ জাবেদ, চসিক মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ও চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী।