উৎসবপ্রিয় সনাতন বাঙালি হিন্দুরা মেতে উঠেছে পূজার আনন্দে। শারদীয় দুর্গোৎসবের ষষ্ঠী পেরিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) মহাসপ্তমী।
ভোরে দর্পণে কলাবউ স্নান। দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে মহাসপ্তমী পূজো। আরাধনা ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে হবে দেবীর পূজা।
শনিবার সকালে নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানের।
সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন মণ্ডপে দেখা যায় ভক্তদের সমাগম। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দ্বীপ দিয়ে পূজা করছেন ভক্তরা।পূজা শেষে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি।
মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোলে যেন ধ্বনিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দুর হৃদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
চট্টেশ্বরী কালিবাড়ির সেবায়েত পন্ডিত বিজয় চক্রবর্তী বলেন, সপ্তমীর দিন সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানের প্রথাগত সূচনা হয়েছে। নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়।
তিনি আরো বলেন, দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে পূজা শেষে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি। সন্ধ্যায় হবে মায়ের আরতি।
খাস্তগীর স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রযুক্তা পাল জয়নিউজকে বলেন, আমার বাসা আসকার দীঘির পাড়। পূজা দেখতে আসলাম। খুব ভালো লাগছে। রামকৃঞ্চ মিশন থেকে পুষ্পাঞ্জলি নিবে। রাতে পরিবারের সবার সঙ্গে ঘুরতে বের হব।