বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও সংগঠনটির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক, যিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু ছাত্রলীগের এই তিন নেতার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান চলছে তা নয়, সব মিলিয়ে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপসহ চারজন সংসদ সদস্য, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচ কাউন্সিলরসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, দুদকের অনুসন্ধান দল কাজ করছে। অনেকেরই নাম এসেছে। বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমে আসা নামগুলোও সংগ্রহ করে অনুসন্ধান দল কাজ করছে। তালিকা বড়-ছোট না, যাদের নামে অভিযোগ আসছে, তার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত অবৈধ সম্পদ ও মুদ্রাপাচারের বিষয়টি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত। অনুসন্ধানে তথ্যপ্রমাণ মিললে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে কমিশন মামলা করবে।