পার্বত্যচুক্তি (শান্তি চুক্তি) বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার পাশাপাশি অবাস্তবায়িত মৌলিক ধারাগুলো বাস্তবায়নে আরো আন্তরিকতা প্রয়োজন। তবেই পার্বত্যচুক্তির ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে সকলের আন্তরিক সহায়তা পেলে চুক্তি আরও দ্রুত বাস্তবায়ন ও পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠির উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক প্রত্যাশার উন্নয়ন ঘটবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস এমএন লারমা) পার্বত্য চুক্তির(শান্তি চুক্তি) ২২ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন।
শনিবার(৩০ নভেম্বর) দুপুরে এফএনএফ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএসের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেএসএস’র কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, সহসাধারণ সম্পাদক সুভাষ কান্তি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা, সদস্য দুর্গারানী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা ও খাগড়াছড়ি সদর শাখার সভাপতি কিরণ বিকাশ
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তিতে উল্লেখিত ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, জুম্ম জাতির বেদখল হওয়া জায়গা ফেরত, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ সমূহের সম্পর্কিত সকল পরিসংখ্যান সংরক্ষণ, কার্যাবলি ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থায়ী বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।
জয়নিউজ/জাফর/বিআর