নারীরা হাল ধরলে তখন আমাদের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। দেশের বৃহত্তম সেবা খাত পর্যটনের উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে নারীদের অংশগ্রহণ অনিবার্য।
নগরের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এসএমই বাণিজ্য মেলার সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত সচিব ড. ভূবনচন্দ্র বিশ্বাস এ মন্তব্য করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, টেকসই পর্যটন এমন একটি প্রক্রিয়া যা আজকের চাহিদা মেটাবে এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
আগামী প্রজন্মকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে নয়, পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উন্নয়নই আমরা চাই। এরজন্য সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তির ইতিবাচক মনোভাব, ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ ও ব্যক্তিগত দৃঢ়তার সমন্বয় প্রয়োজন।
চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ সাবিহা নাহার বেগম, এশিয়ান ইউনিভাসির্টি ফর উইম্যান এর রেজিস্টার ড. ডেবি ডোলেন্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও হোটেল আগ্রাবাদ’র সিইও এইচএম হাকিম আলী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা এবং সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১৩তম আন্তর্জাতিক মহিলা এসএমই বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশ ২০১৯ এর চেয়ারপর্সন ডা. মুনাল মাহবুব।
মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, লিঙ্গ বৈষম্যতা দূর করে নারীদের কাজগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং পর্যটন শিল্পে সেগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং নারীদের গতানুগতিক ব্যবসা থেকে বের হয়ে পর্যটনসহ অন্যান্য খাতগুলোতেও কাজ করতে হবে যা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটনের অন্যতম সম্ভাবনার ক্ষেত্র চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এখানকার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে যেখানে চট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তারা ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট রেখা আলম চৌধুরী, পরিচালক, সদস্যসহ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মকর্মচারীরা।
জয়নিউজ/গিয়াস/বিআর