মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিকের উদ্যাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা বক্তব্যে বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের আর কিছুর করা নেই। আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধোদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারেরও অনেক সদস্য রয়েছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দল করতে দেখি। তখন খুবই আশাহত হই। তাই আমি অনুরোধ করবো মুক্তিযোদ্ধের পরিবারের কেউ যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতানবিরোধী কোনো কর্মকান্ডে জড়িত হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
মেয়র বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পরবর্তী আমরা এখন অর্থনৈতিভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছি। যে স্বপ্ন ও চেতনা নিয়ে বীর বাঙালি দেশ স্বাধীন করেছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মেয়র বলেন, প্রতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদে সংবর্ধনা দিয়ে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এর পরিসর এবং পরিধি অনেক বিস্তৃত করেছি। যথাযোগ্য সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রথম বছর ১৫০ জন। এরপর ১৭০ জন। এবার ১৭৫ জন মুক্তিযুদ্ধের সংবর্ধনা দিয়েছি।
চসিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নগরের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দরিদ্র ও হতদরিদ্র সাধারণ নাগরিকদেরকে হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেককে নগদ টাকাসহ, সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করা হয়। এছাড়া ৪ জন মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে সংবর্ধিত হয়।তাঁরা হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক মরহুম এম এ হান্নান , মো. কলিম উল্ল্যাহ চৌধুরী, আবুল হাসেম, মো. রফিকুল আলম।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ভারতীয় দূতাবাসে সহকারী হাই কমিশনার শুভাশিস সিনহা, রাশিয়ার অনারারি কনসাল জেনারেল স্থপতি আশিক ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মেদ, মহিউদ্দীন আহম্মেদ রাসেল, প্যানেল মেয়র ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ, জোবাইরা নার্গিস খান, কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু, রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।
জয়নিউজ/কাউছার/পিডি