চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জটলা। আরেকটু খোলাসা করে বললে সাংবাদিকদের জটলা।
ভাবছেন প্রেস ক্লাব এলাকায় সাংবাদিকরা থাকবেন- এটাই তো স্বাভাবিক। এ নিয়ে নতুন করে বলার কী আছে।
বলছি এজন্য, সাংবাদিকরা এখানে কেউ সংবাদ সংগ্রহ করতে জড়ো হননি।
তাঁরা আজ একত্রিত হয়েছেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। আজ যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নির্বাচন।
ঐতিহ্যে ভরপুর সিইউজের ইতিহাস। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এ সংগঠন।
ন্যায়বঞ্চিত সাংবাদিকের পাশে থাকার পাশাপাশি জাতীয় ইস্যুতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সিইউজে।
যেকোনো নির্বাচনেই একটা আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। সিইউজে নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই নির্বাচন ঘিরে জমজমাট মিডিয়াপাড়া। প্রতিটি গণমাধ্যম অফিসে পা পড়েছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের। ভোটারদের (সিইউজে সদস্য) কাছে গিয়ে তাঁদের কেউ শুনিয়েছেন সফলতার গল্প, কেউ ব্যক্ত করেছেন, উন্নয়নের সংকল্প।
নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণা আর ভোটারদের আগ্রহে আমি বেশ পুলকিত। আমার বিশ্বাস, নির্বাচন ঘিরে এমন একটি পরিবেশে পুলকিত হবেন যেকেউ।
গতকাল (বুধবার) সকাল থেকেই বেশ কুয়াশা ছিল। ছিল কনকনে ঠাণ্ডাও। আজ অবশ্য তেমন পরিস্থিতি নেই। রোদ ঝলমলে দিন না হলেও কুয়াশা কিংবা ঠাণ্ডা কোনোটিরই তীব্রতা নেই।
সুন্দর এ সকালে ভোটাররাও স্বাচ্ছন্দ্যে আসছেন ভোট দিতে। তাঁদের আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে। সুন্দর এ সকালের মতো সন্ধ্যাটাও শুভ হোক- এটিই কামনা।
বিজয়ীদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।