সারাদেশে চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নগরেও চতুর্থ দিনের যথা সময়ে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। প্রতিদিনের মতো আজও পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষাথী আর অভিবাবকের একটা ছোটোখাট জটলা স্কুলের গেইটে। পরীক্ষার্থীরা কেউ এসেছেন বাবার সঙ্গে কেউবা মায়ের সঙ্গে। কারও বাবা মা দুজনই এসেছেন অথবা পরীক্ষার্থীর বড় ভাই-বোনের হাত ধরে।
১৫ থেকে ২০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে ঢুকে যান পরীক্ষা দিতে। কিন্তু বাইরে যারা দাঁড়িয়ে থাকেন তাদের চোখে মুখে থাকে উৎকণ্ঠা। কেউ দাঁড়িয়েই থাকেন, কেউ বসে। কেউবা আবার প্রিয় সন্তানের মঙ্গল কামনায় বসে কোরান পড়ছেন, কেউ জপছেন তসবি। দৈনিক পত্রিকার পাতার এদিক ওদিক চোখ বুলিয়ে কেউ নিচ্ছেন কেউ। কিন্তু সবার মনেই একটি বিষয় ঘুরপাক খেয়ে যায় পরীক্ষার খাতায় ঠিকভাবে লিখতে পারছে তো তারা। পরীক্ষার শেষ ঘণ্টা পড়া পর্যন্ত মনে চলতে থাকে অভিবাবকদের এই অজানা চিন্তা । নগরের প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ যেন চিরাচরিত এক দৃশ্যপট।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ছিল ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষা। সকালে জামালখানের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বসেছিলেন অনামিকা তালুকদার। তিনি বলেন, সারাবছর তেমন টেনশন হয়নি। কিন্তুশেষ কয়েকদিন ধরে খুবই টেনশন হচ্ছে। পরীক্ষা কেমন দিচ্ছে, ঠিকভাবে লিখছে কিনা এই আরকি।
খাস্তগীর স্কুল থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়েছিলেন এক অভিবাবক সাজেদুল হক। পত্রিকার পাতায় চোখ বুলিয়েই যাচ্ছেন। কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তিনি জানালেন, আজও চাকরী ছিল। ছেলের পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছি।
মহসিন স্কুলের সামনে কথা হলো সুরাইয়া তাবাসসুম নামের আরেকজন অভিবাবকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, আমরা বহদ্দারহাট থাকি। অনেক আগে বেরিয়েও ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে ১০ মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষায় না জানি কেমন লিখছে।
দুপুর ১টা বাজতেই শেষ ঘণ্টা বেজে উঠল। বোঝা গেল পরীক্ষা শেষ। অভিবাবকরা যে যেখানে ছিলেন দ্রুত এসে স্কুলের সামনে জটলা করে দাঁড়িয়ে পড়লেন। বের হতেই প্রশ্নপত্র উল্টে পাল্টে দেখে পরখ করে নেন, দ্রুত কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন পরীক্ষার্থীকে। সন্তানের তালেগোলের উত্তরে মনে একটু সংশয় থাকলেও এবার যে বাড়ি ফেরার পালা।
জয়নিউজ/পিডি