‘করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে ১৯ জন মারা গেছে’- ম্যাসেঞ্জারে জনৈক রোহানকে সম্বোধন করে এমন গুজব ছড়ানোর দায়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ইফতেখার মুহাম্মদ আদনান শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার ও মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।
তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ। এ উপলক্ষে শনিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়।
এতে শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ইফতেখার আদনান একজন চিকিৎসক। সে জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্যে একটি অডিও ক্লিপ তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে তাকে একটি রেস্ট্রুরেন্ট থেকে আটক করা হয়।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক জানান, আদনান জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজে এই অডিও ক্লিপটি তৈরি করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার ভয়েসও মিল পাওয়া গেছে। করোনার মতো একটি স্পর্শকাতর ঘটনায় এমন গুজব ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যেই সে এই কাজ করেছে। প্রথমে অডিওটি রের্কড করে মালেশিয়াতে তার এক ভাইয়ের কাছ পাঠায় সে। পরে সেখানে থেকে এটি দেশে পাঠানো হয়। পরে এক মুর্হূতেই ক্লিপটি ছড়িয়ে যায় সবার কাছে। এ ক্রাইমের সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষ জড়িত আছে কি-না সেটাও অনুসন্ধান করবে পুলিশ।
এদিকে আদনানের রাজনৈতিক পরিচয়েরও সত্যতা মিলেছে। সে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- বিষয়টি জয়নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি।
তিনি জানান, আদনান একজন ভালো চিকিৎসক। সে বেসরকারি মেডিকেল ইউএসটিসি থেকে এমবিবিএস পাশ করেছে। পেশায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তবে কি কারণে সে এমন কাজ করলো, তা বুঝতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সংগঠনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দীপ্তি।