চট্টগ্রামে করেনা সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রিপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস) পরীক্ষা হয়েছে ২২ জনের। বাকি ৮ জনের পরীক্ষা হয়েছে রাজধানী ঢাকার আইইডিসিআরে (রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান)।
তবে চট্টগ্রামে ৩০ জনের কারো শরীরেই ধরা পড়েনি করোনাভাইরাস। তাই ত্রিশেও করোনামুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম।
রোববার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি মিয়া জয়নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে এখনও করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। কিট আসার পর থেকে অনেককে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আশার কথা এখনো কোনো খারাপ সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে চট্টগ্রাম করোনামুক্ত থাকলেও সবাইকে সচেতনতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় এখন নিরাপদ।
অবশ্য করোনা নিয়ে গত দু’দিন ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। অর্থচ এ সময়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১০৯ জনের। এর আগেরও দিন দেশে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। অর্থাৎ গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশে নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।
দেশে এ পর্যন্ত ৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন মারা গেলেও সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ কক্সবাজারে প্রথম করোনা আক্রান্ত নারী শনাক্ত হয়। দেশেই ফিরেই ওই নারী চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ছেলের বাসায় ওঠেন। এরপর তিনি ছিলেন কক্সবাজারের খুটাখালী ও জেলা সদরের টেকপাড়ায় বড় ছেলে বাসায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়।
এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যেসব ডাক্তার-নার্স ওই নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের সবাইকে কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদেরও।
জয়নিউজ