বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার ২৩০ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৮১ হাজার ২২১ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২৩০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইতালিতে ১৩ হাজার ৯১৫ জন, স্পেনে ১০ হাজার ৩ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার ৩১৬ জন, ফ্রান্সে ৪ হাজার ৩১ জন, চীনে তিন হাজার ১৯৯ জন, ইরানে ৩ হাজার ১৬০ জন, যুক্তরাজ্যে ২ হাজার ৯২১ জন, নেদারল্যান্ডসে এক হাজার ৩৩৯ জন, জার্মানিতে ৯৯৭ জন ও বেলজিয়ামে ১ হাজার ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৩৭৪ জন। ইতালিতে এক লাখ ১৫ হাজার ২৪২ জন, স্পেনে এক লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৪৩২ জন, জার্মানিতে ৮১ হাজার ৭২৮ জন, ফ্রান্সে ৫৭ হাজার ৮০৭, ইরানে ৫০ হাজার ৪৬৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৩৪ হাজার ১৬৫ জন, সুইজারল্যান্ডে ১৮ হাজার ৪৭৫ জন আর তুরস্কে ১৫ হাজার ৬৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে চীনে ৭৬ হাজার ৫৭১, স্পেনে ২৬ হাজার ৭৪৩, জার্মানিতে ২১ হাজার ৪০০, ইতালিতে ১৮ হাজার ২৭৮, ইরানে ১৬ হাজার ৭১১, ফ্রান্সে ১২ হাজার ৫৪৮, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৮৪৯ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ হাজার ৮২৮ জন।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।