মাত্র কয়েকদিদন আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) চীনকেন্দ্রিক বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি হুমকি দেন হু’তে তাদের তহবিল (৫০০ মিলিয়ন ডলার) বন্ধ করে দেওয়ার।
তার এমন মন্তব্যের মোক্ষম জবাব দেন হু’র মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আধানম। তিনি জানান, যে হু বর্ণ-কানা নয়। তারা সব দেশেরই ঘনিষ্ট। পাশাপাশি আহ্বান জানান করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেলে ডোনাল্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এখন থেকে আর যেন কোনো টাকাকড়ি না যায়।
ট্রাম্প মনে করছেন, হু খুবই অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, যখন চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সে দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর এই বিষয়টির সমালোচনা করেছিল হু।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, অন্যান্য যেসব দেশ ও অঞ্চল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করেছে এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত খোলা রেখেছে, যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে, সেসব দেশ ও অঞ্চলেই করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারন করেছে। ভাইরাস ছড়ানোর শুরুর দিকে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত রাখাটা ছিল সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি। আর সেটা করে বড় বড় দেশগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের হটস্পট এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। সব মিলিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা ট্রাম্প সরকারের। এমন সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট তার ক্ষোভ ঝারছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও অধীনে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে। মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজার ৯৪৫ জন। প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৪০৭ জন।
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার (৪ হাজার ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা) তহবিল দিয়ে থাকে। যেখানে চীন দিয়ে থাকে মাত্র ৪০ মিলিয়ন (৩৩৯ কোটি ৬৫ হাজার টাকা)।