প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যেখানে গেল সাতদিনেই ১০ হাজার মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রোগীর এই চাপ সামলাতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্য অধিদফতরের।
কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে হু হু করে। ৮ মার্চ প্রথম শনাক্তের সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার পৌঁছাতে সময় লেগেছে ২৮ দিন। দ্বিতীয় দশ হাজার হয়েছে ১১ দিনে আর তৃতীয় দশ হাজার রোগী মিলেছে সাত দিনেই। ইতোমধ্যে বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে আসা ইঙ্গিত দিচ্ছে রোগীর চাপ আরো বাড়ার।
এই অবস্থায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শয্যা। প্রতিটি হাসপাতালেই থাকতে হবে কোভিড চিকিৎসা সক্ষমতা। আর নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ।
ডা. মোহাম্মদ জাকের উল্লাহ বলেন, প্রধানত নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে এবং সবাই মনে করবে এটা আমাদের দায়িত্ব। যেভাবে রোগী বাড়ছে দেখা যাবে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবে। সেভাবে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
শঙ্কা রয়েছে শক্ত হাতে হাল না ধরলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে পরিস্থিতি। হাসপাতাল থেকে রোগী ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও নজরদারির আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
ডা. রাইয়িক রিদওয়ান বলেন, আমার মতে, একটা প্রটোকল তৈরি করা দরকার ছেড়ে দেওয়ার সময় ২৪ ঘণ্টায় দুটো গ্যাপে নেগেটিভ আসলে ছাড়ছে। এতে রোগী আরো ৩-৪ দিন হাসপাতালে থাকছে। উপসর্গ ঠিক হলেই ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী পরিকল্পনা সাজানোর দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা স্বাস্থ্যতেও ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে অনেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।