আদালতের অনুমতি না নিয়ে জামিনে থাকা সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান দেশ ছেড়েছেন। এই শিল্পপতি বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেলে স্ত্রীসহ বিশেষ ভাড়া করা বিমানে (চার্টার্ড ফ্লাইট) লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
তবে এভাবে তাঁর বিদেশ যাত্রাকে গর্হিত অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, এভাবে বিদেশ চলে যাওয়া সন্দেহের উদ্রেক করে। তাছাড়া আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে বলেও জানান দুদকের এই আইনজীবী।
পুরো একটি বিমান ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শুক্রবার (২৯ মে) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পুরো বিমান ভাড়া করে দেশ ছাড়লেন মোরশেদ খান
তিনি বলেন, মোরশেদ খান এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলা আপিল বিভাগে পেন্ডিং। যে মামলায় তাদের সাজা দিয়েছিলেন বিশেষ আদালত। হাইকোর্ট এ মামলায় খালাস দিলে দুদক আপিল করে। আপিলে লিভ গ্রান্ড হয়। এখন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
তিনি বলেন, এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলা পেন্ডিং। যে মামলায় হাইকোর্ট তাকে আদেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য। উনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। জামিন নিয়ে আদালতকে অবহিত না করে বিদেশ যাওয়া গর্হিত অপরাধ। নিয়মিত আদালত খুললে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে।
মানি লন্ডারিং ছাড়াও কিছুদিন আগে দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে মোরশেদ খানের হংকংয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে মোরশেদ খান হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করেছেন।
খুরশীদ আলম খান বলেন, এ অবস্থায় আদালতের অনুমতি না নিয়ে সস্ত্রীক বিদেশ চলে যাওয়া সন্দেহের উদ্রেক করে। আদালতের প্রতি তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।