চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরি মগবিল থেকে চুরি হয়ে যায় ৩টি মহিষ। গত ৭ জুন রাতে আশপাশের চারটি উপজেলায় খোঁজ করতে থাকেন মহিষের মালিক বাবুল মিয়া । আনোয়ারা থানায় একটি মামলাও করেন। অভিযোগ পেয়ে মহিষ চোরের সংঘবদ্ধ দলকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রামবাসীর সহায়তায় সোমবার (৮ জুন) বোয়ালখালীর প্রত্যন্ত চরনখীল থেকে দুটি মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় চরনখীল ইউনিয়নের ফকিরাখালীর এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে মহিষ চোর আবদুল বাতেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুধু বাবুল মিয়ার মহিষেই নয় দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহিষ খামারির মহিষ এভাবে চুরি হয়ে যায় রাতের আঁধারে। তারপর এসব মহিষ চোরের দল নিয়ে যায় বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। বোয়ালখালীর চরনখীলে রয়েছে এমনি একটি প্রভাবশালী চোরের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আজাদ-বোরহান নামে দুই যুবক মহিষ খামারি হওয়া সুয়োগে এ মহিষ চোরের সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
মহিষের মালিক বাবুল মিয়া বলেন, আমার চুরি হয়ে যাওয়া তিনটি মহিষের দুটি গ্রামবাসী ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করেছি। আমার ধারণা বাকি মহিষটি আশেপাশেই কোথাও আছে। জানতে পেরেছি স্থানীয় একটি চোরের সিন্ডিকেট এ মহিষ চুরি করে প্রত্যন্ত চরণখীলে নিয়ে আসে। তাদের ধরলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
আনোয়ারা থানার সাব ইনস্পেকটর আবুল ফারেজ জুয়েল জানান, মহিষের মালিক বাবুল মিয়ার মামলায় পুলিশ বোয়ালখালীর গ্রেপ্তার আবদুল বাতেনের বাড়ি থেকে দুটি চুরি যাওয়া মহিষ উদ্ধার করেছে। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আবদুল বাতেন স্বীকার করে আরও ৪ থেকে ৫ জন চোর মিলে তারা আনোয়ারা থেকে এই মহিষ চুরি করে আনে। বৃহষ্পতিবার (১১ জুন)আসামীকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে চাওয়া হবে। বাকি মহিষটি উদ্ধারে অভিযান চলছে।
জয়নিউজ/পিডি