বোয়ালখালীতে উন্নয়নের ফিরিস্তি শোনালেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল। সরকারের এক দশকে বোয়ালখালীতে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ উন্নয়ন আমি করিনি, করেছে সরকার। সরকারই এ উন্নয়নের দাবিদার।
২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বোয়ালখালী উপজেলার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সৌজন্যে আয়োজিত নৈশ ভোজের আগে এ ফিরিস্তি দেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবি কালুরঘাটে রেল কাম সড়ক সেতু বাস্তবায়ন করার জন্য সংসদে ও ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার বলেছি। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে আন্তরিক। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হয় যে, তা এখনো একনেকের সভায় অনুমোদন পায়নি।
কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী অংশের ভাঙন রোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, রাস্তাঘাট পাকাকরণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এছাড়া স্বপ্ন ছিল বোয়ালখালীতে তিন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার দৃষ্টান্ত তৈরি করতে দৃষ্টিনন্দন একটি লেক করার। গত এক দশকে তা করা যায়নি। বেঁচে থাকলে তা বাস্তবায়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন সাংসদ। যে করেই হোক এ সরকারের মেয়াদের মধ্যে বোয়ালখালীতে আইটি ভিলেজ করা হবে। এটি তাঁর স্বপ্ন নয়, প্রতিশ্রুতি বলে জানান তিনি।
বোয়ালখালীবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ডেমু ট্রেন ও বিআরটিসির বাস সার্ভিস আনা যায় কি না, সে বিষয়ে চেষ্টা করবেন বলেও জানালেন তিনি। নির্বাচনে ১৪ দল অংশ নিলে তিনি নৌকা প্রতীকেই প্রার্থী হবেন। নৌকা ছাড়া হাতি মার্কা নিয়ে নির্বাচনে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সাংসদ বাদল।
এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মনজুর আলম মাস্টার, আবুল ফজল বাবুল, ডা. অধীর বড়ুয়া, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ মন্নান, বর্তমান সভাপতি মো. শাহীনূর কিবরিয়া মাসুদ, সহ-সভাপতি রাজু দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলম বাবর, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রলয় চৌধুরী মুক্তি, এডভোকেট সেলিম চৌধুরী, দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু , ছাদেকুর রহমান সবুজ ও মুহাম্মদ মহিউদ্দীন।
জয়নিউজ/হোসেন