বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিকে স্বঘোষিত দেবদূত হিসেবে আসা ডা. ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশি নন, তিনি পাকিস্তানি! তাই তাকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত যেতে হচ্ছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিকদের পাসপোর্টে ‘নো ভিসা রিকয়ার্ড ফর ট্রাভেল টু বাংলাদেশ’- লেখা থাকার কারণে তাদের বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে ভিসা নিতে হয় না। কিন্তু গত ২৩ জুন বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিজেই জানিয়েছেন, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হচ্ছে। আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে আবার ফিরে আসবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ডা. ফেরদৌস খন্দকারের আমেরিকান পাসপোর্টে প্লেইস অব বার্থ এর স্থানে পাকিস্তান লেখা রয়েছে। তাহলে তিনি কি আমেরিকায় পাকিস্তানি পাসপোর্টে ঢুকেছিলেন! যার ফলে লিগালাইজেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টকে পাকিস্তানের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছে।
জানা যায়, নিজের মামার নাম মোস্তাক হবার কারণে তিনি খুনি মোস্তাকের ভাগিনা সেজে পাকিস্তানি পাসপোর্টে আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে নাগরিকত্ব নেন।
সূত্রটি জানায়, আমেরিকায় নাগরিকত্ব নেওয়ার আগে তিনি যদি বাংলাদেশি হতেন তাহলে তার পাসপোর্টেও নো ভিসা রিকয়ার্ড সিল থাকতো।
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যে মা-মাতৃভূমির সেবা করতে তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসলেন। সেই তিনি কেন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে পাসপোর্টে জন্মস্থান পাকিস্তান দিলেন?
দেশের বাইরে ১৯৭১ সালের পূর্বে জন্ম হওয়া অসংখ্য বাংলাদেশি থাকলেও কারো পাসপোর্টে জন্মস্থান পাকিস্তান লেখা রয়েছে, এইরকম তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক ডেস্কে কর্মরত একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।